তোমার ডায়রীতে লিখে রাখা ভুলে ভরা,কবিতা নই আমি।
আমি তো রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। আমারো প্রাণ আছে, আমি শুনতে পারি,
বলতে পারি আমারো মন আছে। সৃষ্টি করি শব্দমালা ভাঙ্গতে পারি নিয়ম অনিয়ম।
আমি চলতে পারি এক বৃত্তে কখনো অন্তরালে কখনো বা সম্মুখে লিখতে পারি হাজারো পঙক্তিমালা বলতে পারি,
না বলা কত শব্দ। দূরে থেকে দূর মন থেকে মন এর দূরত্ব বুঝতে পারি।
ভালোবাসা নামে গোলাপের সহস্র কাঁটার আঘাতও সহ্য করতে পারি।
আমার আমিকে চিনেছি অনেকটা কষ্টে, অনেকটা শান্তিময়ে। চিনেছি মানুষ দেখি সময়ের ব্যবধানে মানুষের পরিবর্তন আকাশের বিশালতার মত মনকে করেছি বিশাল।
প্রতিনিয়ত মানুষ নামের মুখোশগুলো আকাশের পরিধির মত মনটাকে করছে ছোট, চারদিকে যেনো হাজারো নষ্টামি,
মিথ্যের জয়গান এখন চারদিকে বিবেক শূন্য যেন সবকিছু। অমানুষেরর ভীরে এখন আর মানুষ দেখিনা নিজের স্বার্থে নিজেকে করছে বিলিন।
রক্তের সাথে রক্তের পার্থক্য ধর্মের নামে ব্যবসা লোভ অহংকারে বিকিয়ে দিচ্ছে নিজের অস্তিত্ব। এমনটাই কি মানুষ করে এমনটাই মানুষ ছিলো আমি কি এমনটাই চেয়েছিলাম?
এমনটাই পৃথিবী আমার এমনটাই সৃষ্টি ছিলো-
সবাই যেন স্বর্গের নামে সুখ খুঁজে বিশাল অট্টালিকায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নামের ধর্ম মানুষ খুঁজে চলে নিজের সৃষ্টিকে ভুলে যায় সব এক। শুধু ধর্মেই পার্থক্য সৃষ্টি করেছে অনবরত।
সৃষ্টিকর্তা তো এতো হতে পারে না সৃষ্টিকর্তা একজনই। মানুষ হতে চাই এই মানব জন্মে ও কর্মে। ধর্মে নয় তুমি তোমার সৃষ্টিকে দেখো তুমি তোমার সত্যকে দেখো তুমি তোমার পরিধি দেখো তুমি তোমার অস্তিত্ব দেখো যেনো বিলিন না হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন