We are not special, but we are fortunate and enjoying generation.
যখন আমরা ছোট ছিলাম…. হাতগুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম, ’আমার হাত নেই’ ।
একটা পেন ছিল যার চার রকম কালি, আর আমরা তার চারটে বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম।
দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দেবো বলে, সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম।
ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি, চাঁদটাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে।
সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে অন্-অফ এর মাঝামাঝি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতাম।
তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিলো, সেটা হলো স্কুলব্যাগ।
ক্লাসে বসে কলম-কলম খেলা, খাতায় ক্রিকেট, চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ, ছোট ছোট ইট দিয়া স্কুল এর বারান্দায় ফুটবল খেলতাম, ইক্স-ওক্স খেলতাম, টাকা জমিয়ে মস্তফা গেম খেলতে যেতাম বাসা থেকে লুকিয়ে।
স্কুল ছুটির পর কটকটি, বস্তা আইসক্রিম, লটারি আইসক্রিম, হাওয়াই মিঠা না খেতে পারলে মনটাই খারাপ হয়ে যেত!
স্কুলে দোলনায় না চড়ে নারিকেল গাছের পাতা টেনে ঝুলে থাকতাম।
স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা কার্টুন , শক্তিমান, গডজিলা, সামুরাই এক্স দেখতে।
শুক্রবারে দুপুর ৩টা থেকে অপেক্ষা করতাম কখন বিটিভিতে বাংলা সিনেমা শুরু হবে এবং সন্ধার পরে আলিফ লায়লা, সিন্দাবাদ, রবিনহুড, দি এ টিম, মাকগাইভার, নাইট রাইডার, হারকিউলিক্স, মিস্টিরিয়াস আইল্যন্ড, এক্স-ফাইলস দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম।
ফলের দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম…পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে।
ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম, তারপর কি দরকার ভুলে যেতাম, ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর মনে পড়ত….
দুপুরের রোদে সুতা মান্জা দিয়া বিকালে ঘুড়ি দিয়া কাটাকাটি খেলা।
বিকেলে ওপেনটি বায়োস্কোপ, পাতা-পাতা, বরফপানি, কুতকুত না খেললে বিকালটাই মাটি হয়ে যেত।
এ বাড়ী ও বাড়ীর সবাই মিলে বাড়ীর উঠানে চোর পুলিশ খেলা, সাত চারা, টেনিস বলে কস্টটেপ পেচাইয়া পিঠ ফুডান্তি (বোম্বাসটিং) খেলা।
রাতে কারেন্ট যেন যায় এর জন্য দোয়া করাতাম কারেন্ট গেলে ফকির কে ২৫/৫০ পয়সা দিব আর কারেন্ট গেলে একটা হুল্লর উঠত খুশির এক দৌরে রাস্তায়, রাতে কারেন্ট চলে যাবার পর সবাই পাটি বিছিয়ে বসে ভূতের গল্প করা। নয়তো বাশঁবাগান থেকে জোনাক পোকা ধরা।
ফাইনাল পরীক্ষা যেহেতু শেষ সেহেতু সকালে পড়া নাই। এত মজা কই রাখি? নানু বাড়ি, দাদু বাড়ি যাওয়ার এই তো সময় ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, সাপ-লুডু না খেললে কি হয়!
টিনটিন, চাচা-চৌধুরী, বিল্লু, পিংকি, তিন গোয়েন্দা পড়তাম।
ডিসেম্বর মাস আর শীতকালটা আমাদের ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল। তবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যত আগাইয়া আসত মনের মধ্যে ভয় তত বাড়ত। ওইদিন যে ফাইনালের রেজাল্ট দিবে আজকাল ছেলে মেয়েদের শীতকাল, গরমকাল নাই। রুটিন সেই একটাই। বাসা, স্কুল, কলেজ, কোচিং, ফেসবুক চ্যাট।
আর আমরা কলেজে উঠার আগ পর্যন্ত মন খারাপ, ফ্রাসটেশন কি জিনিস বুঝতামি না। মন খারাপ মানে হইল ম্যাচের সময় প্রাইভেট থাকা।
নব্বইতে ছেলেবেলার সে দিনগুলোতে আমরা হয়ত ক্ষেত ছিলাম ,আমাদের এত এত উচ্চমাত্রায় জ্ঞ্যান ছিলনা হয়ত লেমও ছিলাম কিন্তু আমাদের সারাজীবন মনে রাখার মত একটা ছেলেবেলা ছিল আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা এগুলো পড়ছো, তোমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে, ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে…
-তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তর- আবার ছোট হতে চাই .
*Copy, Collected & little bit added…
আপনার মন্তব্য লিখুন