কবিতা

ছেলেটি কিছুই হতে পারে নি : জাহীদ হোসেন

মা-বাবা চেয়েছিলো ছেলেটি ডাক্তার হবে
সুনাম আর টাকায় সংসার ভরে যাবে,
শেষ জীবনটা কেটে যাবে নির্ভাবনায়
রোগ আর ডাক্তার মিলবে ষোলো আনায়।
ছেলেটি মা-বাবার কথা রাখতে পারে নি
সে বিপ্লবী হয়েছে, ভিন্ন তার জীবন কাহিনী,
চুল-দাড়িতে ভরা এক ‘চে’ সদা বজ্রমুষ্ঠি
ঝাঝালো মিছিল, প্রতিবাদে কাটে তাঁর দিন।

ছেলেটি অনায়াসেই ইঞ্জিনিয়ার হতে পারতো
গড়তে পারতো অট্টালিকা বা বড়সড় ইমারত,
কোনো বিদেশী নারীর সাথে মিলাতো জীবন
তবুও মা-বাবার হতো কিছুটা স্বপ্ন পূরণ।
ছেলেটি কবিতা লিখে সময়ের করে অপচয়
কাঁধে ঝুলানো চটের ঝুলি, পকেট খালি প্রায়,
হেঁটে ক্লান্ত, পার্কের বেঞ্চে বসে ঝালমুড়ি খায়
তবুও লিখে আর চেয়ে থাকে দূর নীলিমায়।

ছেলেটি দেশের নামকরা ব্যবসায়ী হতে পারতো
কোনো শিল্পপতির মেয়ের ভালবাসা পেতো,
মার্সিডিজ গাড়িতে করে লং ড্রাইভে বা ব্যস্ত বিদেশ ভ্রমণে,
হাতে পানীয় আরও কতো শত।
ছেলেটি ব্যান্ডে গান গায়, যা অপছন্দ মা-বাবার
কেননা এদেশে গানের ভবিষ্যত বড়ই অন্ধকার,
ছেলেটি গোলাপের পাপড়িতে আত্মা ঢালেনি
ছোট্ট জীবন,নিজের মতো বাঁচলেই বা দোষ কী।

(ছবিতে রুদ্র, আমাদের ছোট রাজপুত্র)