ছড়া

ছড়ায় ছড়ায় বই || মহিউদ্দীন আল মহী

রব্বানী চৌধুরী শতাধিক বই লিখেছেন। এরমধ্যে ছড়ার বই লিখেছেন ৭৮ টি। তাঁর ছড়ার বইয়ের নাম দিয়ে “ছড়ায় ছড়ায় বই” নামক ছড়াটি ১৭৬ লাইনে লেখা। কবি শামসুর রাহমান বলেছেন, “ছড়ার বিশুদ্ধ সাহিত্যিক রব্বানী চৌধুরী “। তিন প্রায় ৪০ বছর ধরে লন্ডনে আছেন। তাঁর জন্ম সিলেটের মৌলভীবাজারে ১৯৫৮ সালে ১৬ ডিসেম্বর।)

ছড়ায় ছড়ায় বই
মহিউদ্দিন আল মহী

র-তে রব্বানী চৌধুরী
স্বদেশ প্রেমিক কবি
ছড়ায় ছড়ায় আঁকেন তিনি
বাংলা মায়ের ছবি।
তাঁর ছড়াতে পাই যে আমি
গাঁও-গেরামের রূপ
“আমার বাবা টাকার বাবা ”
পড়েই হলাম চুপ!
“শেয়াল পেলো ছাগল বর্গা”
এটা কেমন নীতি?
“টিয়ে পাখির মিছিল” দেখে
হাসি মারলো ইতি।
“বানর গেল সাইবারে”!
মজার ছড়ার বই
“আমি হব প্রধানমন্ত্রী ”
পড়ে অবাক হই।
“ফড়িং নাচে সোনার খাটে”
খোকন গেল ধরতে
“সুন্দরবনের ছড়া”গুলো
ভালো লাগে পড়তে।
“সোনার বৈঠা সোনার নাও”
“সোনার দেশের ছড়া”
সোনার মানুষ হতে পারো
করলে লেখাপড়া।
“পদ্ম ফুলে পুকুর লাল”
“আমার দেশের ছবি”
“মানবতার মিষ্টিমন্ত্র ”
বলতে পারেন কবি।
“আকাশ আমার মায়ের আঁচল”
করি মায়ের বন্দনা
খাইতে ভালো “পাপাডাম”
“ভিন্ডালু”টাও মন্দ না।
“চাঁদ দেখতে চেয়েছিলাম”
হঠাৎ এলো বিষ্টি
“বান্দরবানের ছড়া” কিন্তু
ভীষণ লাগে মিষ্টি।
“ইং বিং”/ “Eng-Bing”
“সূর্য যেন রিং”
সুন্দরবনে হরিণ নাচে
কী সুন্দর যে শিং!
“সিংহের মামা আমি”
সিংহের মামা!
“বাঘের মাসি ঐরাবতে”
গায়ে লাল জামা।
“এক যে ছিল মহারাজা”
“রাজার বুদ্ধি পাঁচসিকা”
রাজা কেমন রাজ্য চালায়
ইতিহাসে হয় লিখা।
“রাজার বাড়ির হাতি”টার
বিশাল বড় দেহ
“চন্দনা যায় বৈরাতী”
দেখছো নাকি কেহ?
“স্বাধীনতার লাল ফুল”
“দেশপ্রেমের ছড়া”
“লিমেরিক ফ্রম লন্ডন”-এ
প্রতিবাদ যে কড়া!
“রানীর দেশের ছড়া” ওটা
দ্বি-ভাষিক গ্রন্থ
ভীষণ মজার অনুবাদে
ভরে গেল মন ত।
“ধানসবুজে পানসবুজে”
মনের সুখে হাঁটি
“পাকা ধানের গুলিস্থান”
আমার গাঁয়ের মাটি।
ভূতের কথা শুনতে হলে
বইটা হাতে ধরেন
“ভূতের বাড়ি লন্ডন”
ভূতটা হল ফরেন।
“জয় বাংলার” ছড়ায় আছে
স্বদেশ প্রেম বেশি
“ভূতের বাড়ি বংশাল”
ভূতটা হল দেশি।
“বিরাশি ১০ আনা” টাকা-আনা
গুনতে পারে খুকি
পড়ালেখায় ভালো যারা
হয় যে তারা সুখি।
“ফেইসবুকের ছড়া” বই
নামকরণে ডিজিটাল
“রাঙামাটির ছড়া”গুলো
পড়ে পড়ে মারি ফাল!
“লালরোদে ঝিলমিল”
পদ্মফুলের পুকুর
“কাকাডুডু” “কাকাডুডু”
ছড়ার বইটা খুকুর।
“ঠেলার নাম বাবাজি”
জানি আমরা সবাই
“একালের ছড়া”গুলো
দালাল করে জবাই!
“ভ তে ভাষা বাংলা ভাষা”
সাহস দিল বুকে
“ম তে মুক্তি মুক্তিযুদ্ধ”
শত্রু দিল রুখে।
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
মুক্তিযুদ্ধের ছড়া
লাল সবুজের ভালোবাসা
পাতায় পাতায় ভরা।
খোকার হাসি “ছড়ার বাঁশী”
শুনতে লাগে ভালো
শুদ্ধ পথে চলবে যারা
সমাজ করবে আলো।
“ঢাকা-লন্ডন ইমেইল ছড়া”
যৌথ ছড়ার বই
ছড়ায় ছড়ায় ছন্দ বাজে
ফুটে যেন খই।
“ছড়ায় ছড়ায় ছড়াকার”-এ
ছড়াকারদের বিবরণ
“ছড়াসমগ্র”-এর দশটা বই
থাকবে সদা-ই স্মরণ।
“জাতির পিতার ছড়া”য় আছে
একাত্তরের কাহিনী
“লন্ডনের ছড়া”য় নাচে
“রানীর বিশাল বাহিনী”(#)।
“গাঁয়ের পাশে ডাকছে নদী”
“গাঁয়ের পাশে ডাকছে..”
“ছবি ও ছন্দে সোনার বাংলা”
খোকন সোনা আঁকছে। 
“গাঁয়ের নামে ছড়া”রে ভাই
“গাঁয়ের নামে ছড়া”
ছড়ায় ছড়ায় ছন্দ নাচে
“ছড়ায় শিখি পড়া”।
“ছড়ায় ছড়ায় বর্ণ শিখি”
শিশু শিক্ষার বই
“ছড়ার মালা বর্ণমালা”
সোনামণির সই।
ছ-তে “ছড়া রচনাবলি”
বিশাল “ছড়া ভাণ্ডার”
“নাড়াচাড়া” তত্ত্ব শুনে
মাথায় পড়ে থান্ডার!(Thunder)
“সবার উপর গুম সত্য”
কালের কথা বলে
শীতলক্ষ্যায় ৭টি লাশ
চোখ ভেসে যায় জলে।
“মুজিব যখন ডাকলো”
“বঙ্গবন্ধুর ছড়া”
পাক বাহিনী লড়তে এসে
খাইলো ভীষণ ধরা।
“যন্ত্রণা মন্ত্রণা” যে তাঁর
পয়লা ছড়ার বই
৭৯’ সালে প্রকাশ, ওটা
আজ সবারে কই।
“রামায়ণের ছড়া”র বইয়ে
সীতার কথা শুনি
“স্বাধীন বাংলার ছড়া”য় জানি
পাক বাহিনী খুনি।
“ছড়ায় ছড়ায় নীতিকথা”
জানতে হলে পড়ো
নীতি ছাড়া এই জীবনে
মানুষ হয়না বড়।
“দাদির হাতে পানের বাটা”
ছড়ায় “ছড়াকিং”
দাদির হাতে মোবাইল বাজে
ওলে ওলে রিং।
“বাঘের হাতে ব্যাট”
খোকন তাড়ায় ক্যাট
অসৎ পথে চলে যারা
করি তাদের হ্যাট। (Hate )
“কুটুম এলো পঙ্খিরাজে”
খবর রটলো চৌদিকে
রান্না ঘরে কাজের ধুম
বাতাস করো বৌদিকে।
“ছড়ায় ছড়ায় অংক শিখি”
অংক দিয়ে ভরি খাতা
“সিলেটি ছড়া”য় আছে
সবুজ সবুজ চায়ের পাতা।
“বর্ণমালায় মজার ছড়া”
সবাই পারেন পড়তে
ছোট বড় নেই ব্যবধান
ছড়ার গাড়ি চড়তে।
খবর পেলে নতুন বইয়ের
ভবিষ্যতে লিখতে পারি
তাঁর ছড়ার বই পড়ে যে
জ্ঞানের কথা শিখতে পারি।
অবশেষে এই লেখাটা
আজকে হল শেষ
গুরুর কাছে শিক্ষা পেলাম
সবার উপর দেশ।

(রানীর বিশাল বাহিনী# চিহ্নিত লাইনটা বই নয়, এটা লেখকের একটা ছড়া থেকে চয়ন করা হয়েছে )

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী