কবিতা

ধর্মচিহ্নে নাক গুঁজে গেরুয়া কুকুর || শামসুদ্দিন হীরা

বেদনার তটে কবিতার কাছে বসে আমার করুণ আর্তি।
যে সৌন্দর্য্য কবিতার কাছে চেয়েছিলাম ; তার বদৌলতে এনে দিলে খন্ডিত দেহ।
চারদিকে শ্বাপদসমাকীর্ণ হত্যা আর্তচিৎকার!
নারীর বিবস্ত্র দেহে গেরুয়া জানোয়ারের উদ্দাম নৃত্য।
দূর পর্বতে মেঘসম ধোঁয়া, পুড়ছে ঘর ভাঙাছে পাঁজর।
নাফতরঙ্গে ভেসে যায় বেওয়ারিশ লাশ।
বিক্ষুব্ধ জলরাশি অভিশাপ দেয় ; পাথরনদী কেঁপে ওঠে।
উঠে না, মানবতার ভেকধারি প্রগতির ছায়াপ্রেতদের।
মনে পড়ে, গুজরাটে জীবন্ত মানুষের জ্বলন্ত অঙ্গারে দাঁতমাজা শুয়োরকে।
আজও সেই শুয়োর মানুষের পোঁড়া গন্ধ শুকতে ছুটে যায় হায়নার দেশে।
পোঁড়াগন্ধে জেগে উঠে একদল বুনো কুকুর,
ধর্মচিহ্নে নাক গুঁজে, সন্দেহতাড়িত ভূত, দ্বিমুখী অসুর।