কবিতা

বেলা অবেলার মেঘবালিকা

ছায়া মানব

“”এই যে মেঘবালিকা,
আপনাকেই বলছি,
মেঘের এত এত রঙ থাকতে আপনার ধুসর বিবর্ন রংটাই
কেন এত প্রিয় বলুনতো !!
“”মেঘের এত রং কোথায় পেলেন,কখনও কি নীল মেঘ
দেখেছেন? “”
“”আপনি হলুদ নদী দেখেছেন?”
“”ওমা,নদী আবার হলুদ হয় নাকি!! ”
“”বিবর্ন পৃথিবী দেখেছেন?”
“অনেক, আমার ভিতরেই তো আছে। ”
“নিজের মাঝে পৃথিবীকে বিবর্ন বানিয়ে রেখেছেন,কেন
বলুনতো? ”
“”সব কথা জানতে নেই। ”
“আচ্ছা না হয় নাই জানলাম,,দুরন্ত হাওয়া জানে তো??”
“মানে কি!!”
“” ওমা, মেঘবালিকার মন খারাপ,আর মাতাল হাওয়া জানবে না!!”
“তার জানাটা কি খুব জরুরি?? ”
“সে না জানলে আপনাকে ভাসিয়ে নিবে কে বলুনতো,
অশান্ত সমুদ্রের গর্জন কে থামাবে,
যদি মেঘবালিকার হাসিতে মুক্তো না ঝরে।”
“”আমি কারও নই ”
“তাহলে কি আপনি আপনার?”
“আমি আমাকেও ভালবাসিনা।”
“রোদ ভালবাসেনতো??”
“”কী”
“”কিনবা মাঠের পাড়ের নরম নদী”
“”পাগল হলেন নাকি!!”
“আজ হলুদ খামে একটা চিঠি পেলাম যে ”
“”নীল খামে পাননি??”
“কেউ তো দেয়নি “”
“হলুদ খামে কার চিঠি? ”
“”সমুদ্রের। ”
“তা কি লিখলো?””
“”আমাকে নিমন্ত্রন করলো,আমার জন্য নাকি সাজিয়েছে আস্ত একটা দ্বীপ।”
“”দারুন তো।”
“”যার ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বাবুই”
“অদ্ভুত !”
“পাহারার দায়িত্ব নিবে গাংচিল , তাকে সাহায্য করবে
দক্ষিনের হাওয়া.”
“আর কি কি থাকবে?? ”
” “”সাথে ভোরের শিশির ভেজা ১০৮ টা নীল পদ্ম ,আর আমাকে
রাজসিক সম্ভর্ধনা দিবে সমুদ্র নিজেই, ভাবছি যাব
কিনা..”
“যাবে না কেন! ! আমারিতো যেতে ইচ্ছে করছে.. ”
“”তোমার যেতে ইচ্ছে করে?”
“”খুব..”
“তার জন্য যে একটা কাজ করতে হবে তোমায়। ”
“”এমন নিমন্ত্রন পেলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো. ”
“”তাই!!!”
“”হুম, কি করতে হবে বললে নাতো ”
“”মেঘবালিকার ধুসর রংটা যে একটু বদলে নিতে হবে, তোমার
হাতে দিলাম ৭টি নীল পদ্ম , পীথাগোরাসের ৭,আবার রংধনুর ও
৭,কেমন অদ্ভত লাগেনা.. ”
“এর মাঝে অদ্ভত এর কি আছে, জীবন এর কাছ থেকে কষ্ট ছাড়া কি
বা পেলাম. ”
“আর হলুদ খামের চিঠি.. ‘”
“”যাবতো। ”
“”রংধনুর কোন রংটা তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে??
“”কেন বলত?? ”
“বাহ ভুলে গেলে!!,মেঘবালিকাকে রাঙ্গাতে হবে না!!! ”
” “যদি না রাংগায়, যদি বলি আমি ভালবাসতেই ভালবাসি তবু
সপ্ন দেখতে ভয় হয়..”
‘”ভালবাসাতেই ভালবাসা ভাল, ভালবাসা কি আর খাচায় বন্দি
পাখি.. ”
“‘তবে কি আমি যাবো না সমুদ্রের ডাকে??? ”
“কেন যাবে না, অবশ্যই যাবে, বদলাবে নিজেকে??”
“”হুম আচ্ছা যাও।”
“তেপান্তরের মাঠে??”
“”ওখানে কেন??”
“ঘাস ফুল আনবো বলে.. ”
“‘ঘাস ফুলতো আমার প্রিয় না।”
“”নিজের সাথেই অভিনয়!!!!! ”
হঠৎ কোথা থেকে এক বন্য হাওয়া এসে সব কিছু উড়িয়ে
নিয়ে চলে গেল,
অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপির আর একটা পাতাই শুধু বাড়লো,
জানা হল না মেঘবালিকা শেষে কি সত্যিই বদলাতে
পেরেছিল নিজেকে,
আচ্ছা, মেঘবালিকার খবর জান কি তুমি চন্দ্রাবতি?????

আপনার মন্তব্য লিখুন

Click here to post a comment