কবিতা

মৃত্যু পথের যাত্রী || মানজারুল ইসলাম দুলাল

যে আশায় মত্ত থেকে
স্বপ্নের বীজ বুনি।
ব্যাকুলে হয়ে তোমার দৃষ্টির
পানে চেয়ে আজন্ম কাঁদি, আমার স্বপ্ন
কি হয়েছে তোমার সূত্রাবলী নিয়মে।
আমার আর্তনাদ কি কখনো তোমার
প্রশংসার বস্তু হয়েছে। ভিক্ষারীর কান্না দেখে কেউ কি অশ্রু বন্যা ঝরিয়েছে
বরং প্রশংসায় সবার চোখের জল ঝরে।

আমার মৃত্যু তোমার কাছে ক্ষণবস্তু হতে
পারে কিন্তু আমার কাছে এলাহি কান্ড।
আমি দৃষ্টি আমার ভূজ আমার ইন্দ্র একদিন সকলের সামনে বিদয়ের যাত্রা ঘোষনা করবে। সকলে একটি বার দেখতে চাইবে তোমার কাছে প্রার্থনা মর্জি করবে তুমি কি সেই সুযোগ দিবে, না কখনো দিবে না। আমার নববধু কান্নায় দু চোখ লাল করে বলবে কত ভাল বেসেছি,নিজের মৃত্যু কামনা করেও আমাকে বাচাতে চাইবে। তুমি তার বাণী শুনবে। না কখনো শুনবে না। আমার স্বপ্ন পুরোন হতে আরো অনেক সময়, তুমি তো আমায় স্বপ্ন দেখার মস্তিষ্ক দান করেছ। আমাকে পৃথিবীর ধূলিকণা মাখিয়ে বড় করেছ আমাকে শিখতে বলেছ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখিয়াছ। তবু কি আমার করুণা তোমার মর্জি হবে। না হবে না।
আমার প্রিয় খেলার সাথি, যখন খেলার মাঠে গানের দলে কবিতার আসরে চায়ের দোকানে ক্যাম্পাসে গল্পের মেলায় আমার কথা মনে করে তোমার কাছে ভাল বলবে মিস করবে, আমার ভাল সর্বদা কামনা করবে। তবু কি আমার প্রার্থনা মর্জি হবে।

আমার ইচ্ছে বাসনা লুকায়িত তবু তুমি
বুঝতে পার, আমার প্রার্থনা কোন দিকে ধাবিত হবে তুমি আগে জান। আমার কর্ম কোন দিকে ধাবিত হবে তুমি ভাল জান।
তবু কে আমার বাসনা এতো দ্বিধার্নীত্ব।
আমার মৃত্যু কোন স্বপ্ন গড়া নয় তোমার ইচ্ছায় প্রকাশ। তোমার দানের হস্তে আমার অর্চনা সর্বদা ছিল এখনো থাকবে।
আমি যে দাস প্রভুর ইচ্ছায় আমার প্রকাশ।আমি কোন স্বপ্ন দেখতে পারি না আমি কোন ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারি না।প্রভুর দাসত্বই আমার স্বপ্ন।

স্বপ্ন নয় বাস্তবতা তোমায় ছবি হয়ে থাকবে
যে ছবি তোমার প্রিয় মানুষগুলো এঁকে এঁকে কাঁদবে। আর বলবে ইচ্ছে গুলো তোমার কাছে ছুড়ে দিলাম।তুমি দেখিয়ে রাখিও। তুমি কি দেখিবে আমার কি বাসনা রেখে এসেছি। আমি কাঁদলে ও সুখি যদি তারা হাসে। আমি জানি তুমি তবুও ভার নিবে আমার মৃত্যু কামনা করে।
ভাল কাজটি রেখে গেলাম তোমার কড়িঠরে, আর স্বপ্ন গুলো নিয়ে হাজির হলাম তোমার হিসাব কক্ষে।