কবিতা

সন্ধ্যের আকাশ ও নন্দিনী || পিতাম্বর ধনঞ্জয় ঘোষাল

তোমাকে মানবীর মতো মনে হলো।
তোমার আয়ত চোখের দৃষ্টিতে যে বিস্ফোরণ হলো–
তোমার কপাল চুম্বনের
মধ্যে যে ভালোবাসা রয়েছে–
একশো মাইল বা দুশো মাইল দূর হতে ভালোবাসার
ভিতরের ভালোবাসায়
তোমাকে চুম্বন করি
বড্ড লোভ হয়
তোমার ঘুমন্ত চোখের উপর আলতো ছোঁয়া দিয়ে
তোমাকে স্বপ্নের কাছে
পৌঁছে দিয়ে
আমিও চলে যাই তোমার নীলচে জ্যোৎস্নার স্বপনে–
সেখানে জোছনাতেও
মৃদু ছায়া পড়ে।
চেনা দুঃখ গুলোকে,চেনা ব্যথা দাম্ভিক পুরুষের কামনার আর্তি
কিচ্ছু নেই ;কখনো ছিলোও না।
খুব মায়াময় মনে হয়
নিদ্রিত চোখের দিকে চেয়ে
সব কামনা সব বাসনা থেকে
নিজেকে সরিয়ে নিয়ে
কোন নির্জন রাতের গভীরে
চাঁদের আলোয় তোমার মতো ঘুমিয়ে পড়ি ;
কোনো সুদূর হতে বাতাসে মিহিন গুঁড়ো গুঁড়ো কান্নার শব্দ
নিঃশব্দে শিশিরের মতো পড়ে
আমার সারা শরীরময় ;
নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়-
তখন তোমার বুকে মুখ গুঁজে
নিজেকে লুকিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয়।
তুমি নিষ্ঠুরের মতো ঠেলে সরিয়ে দাও ,কোন অপবিত্র
মৃত পশুর মতো ।
তারপর হঠাৎ এসে কিছু ভালো
আন্তরিক কথা বলে চলে যাও
আমি বসে থাকি, বসেই থাকি-
তখন নিজের বুকের শব্দও
বিরক্তিকর মনে হয়।
তখন সন্ধ্যার আকাশ ও নন্দিনী আর আমার মধ্যে
এক জীবনের ব্যবধান
এক পৃথিবীর ব্যবধান।

পশ্চিমবঙ্গ,ভারত

আপনার মন্তব্য লিখুন

Click here to post a comment